পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, উপকূল এলাকায় প্লাস্টিক বন্ধে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করতে একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক মুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া (প্লিজ) প্রকল্পের জাতীয় স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে। টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান প্লাস্টিকের সার্কুলার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ  করেছে, যা থ্রিআর (রিডিউস, রি-ইউজ, রি-সাইকেল) কৌশলের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত। এটি সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন মূল্য শৃঙ্খল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী পণ্য এবং সবুজ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে।

এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বেশকিছু আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নীতি প্রণয়ন করেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের মহাপরিচালক ডা. মো. মাসুমুর রহমান।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটি দূষণমুক্ত বাসযোগ্য বিশ্ব দরকার যা মানব স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন,

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ বৃদ্ধির পথ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন এবং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সুযোগ। এক্ষেত্রে সফলতার জন্য আমাদের অবশ্যই দৃঢ় এবং সাহসী উদ্যোগ নিতে হবে।

‘প্লাস্টিকমুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া প্রকল্প’ পার্লি ফর দ্য ওশেন দ্বারা চালু করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পরিবেশগত উদ্ভাবনকে সমর্থন করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এনজিও এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ বিষয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মতামত দেন।

জেইউ/এমএইচএস