চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের খাস জমিতে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। 

জঙ্গল সলিমপুরের ৩১শ একর খাস জায়গা উদ্ধারকল্পে এবং সেখানের জীববৈচিত্র‍্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর  মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো—

>> জঙ্গল সলিমপুরে তিন হাজার ১০০ একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। জমি উদ্ধারের পর সেখানে জীববৈচিত্র‍্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কয়েকটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে।

>> গঠিত টাস্কফোর্স কমিটিসমূহ এক মাসের মধ্যে উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন  এবং উদ্ধারকৃত সরকারি খাস জমিতে জীববৈচিত্র‍্য রক্ষাপূর্বক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করবে।

>> জঙ্গল সলিমপুরে যারা প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে, তাদেরকে স্থায়ী ঠিকানায় স্ব স্ব উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

>> জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুতা ও মাদকের রাজত্ব কায়েম করে রাখা সন্ত্রাসী-আসামিদের গ্রেপ্তারে অবিলম্বে সাঁড়াশি-চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

>> আগামী এক মাসের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষও উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম রক্ষা বাহিনীর প্রধান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।

কেএম/আরএইচ