রাজধানীর ওয়ারীর সালাউদ্দীন স্পেশালাইজড হাসপাতাল। একজন ভিকটিমের কাছে হাসপাতালটি অতিরিক্ত বিল দাবি করে। পরে ভিকটিম ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ আসতেই বিল কমিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ভিকটিম।   

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ২টার দিকে আল আমিন (৩৩) নামে একজন কলার ঢাকার ঢাকার ওয়ারী থানাধীন সালাউদ্দীন স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানান, তিনি পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। একদিন  আগে অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই তার স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট (মিসক্যারেজ) হয়ে যায়। 

একদিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি স্ত্রীকে বাসায় নিতে চাইলে ৩১ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু একদিন হাসপাতালে অবস্থানের জন্য এতো টাকা বিল দাবি করার কারণ জানতে চান এবং এতো টাকা পরিশোধে অসম্মতি জানান তিনি। তখন হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয় যে, বিল পরিশোধ না করলে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারবেন না। শেষে তিনি কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন।

পরিদর্শক আনোয়ার বলেন, ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ওয়ারী থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে ওয়ারী থানার এস আই জহির ৯৯৯-কে ফোনে জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রতনের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় ন্যুনতম বিল নেওয়ার অনুরোধ জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১২ হাজার টাকা বিল নিয়ে কলার এবং তার স্ত্রীকে ছাড়পত্র দেয়।  

এমএসি/আরএইচ