হাওরবাসীর দুঃখ দূর করার জন্য ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি নদীর ৩২৮ কি. মি. খননের কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে (আইইবি) টাস্ক ফোর্স অন ওয়াটার সেক্টরের উদ্যোগে ১ম পর্বে 'হাওরে বন্যা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন হাওরবাসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে বলত বাঁধ চাই না, ভাত চাই। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখন হাওরবাসি বলে ভাত চাই না, বাঁধ চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মেহনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে চেয়েছেন। হাওরবাসির দুঃখ দূর করার জন্য ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি নদীর ৩২৮ কি. মি. খননের কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, হাওরের সমস্যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব না। উন্নয়নের জন্য সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। দেশ বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও দায়িত্ব রয়েছে।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওরের সমস্যা একমাত্র হাওরবাসীই ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারে। হাওরের ফসলের ওপরই দেশের খাদ্যশস্যের মূল্য নির্ভর করে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণাসহ ৭টি জেলায় ৬৯টি উপজেলায় মোট ৩৭৩টি হাওর এ অঞ্চলের দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। 

তিনি আরও বলেন, পলি জমে এই হাওরাঞ্চলের নদী-খাল ও হাওরগুলোর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার ফলে বর্ষায় বা উজান থেকে নেমে আসা পানি ধারণ করে রাখতে পারে না৷ ফলে পানি চলে আসে লোকালয়ে। হাওরের পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করে হাওরের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের সমাধানের উপায় হচ্ছে ড্রেজিং। সেটা যদিও অনেক ব্যয়বহুল তারপরেও সরকার ড্রেজিং করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। কারণ আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। 

এসএইচআর/এসকেডি