প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রতীকী ছবি
নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট গত ৬ সেপ্টেম্বর ‘জাগরণী টিভির এমডির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাগরণী মাল্টিমিডিয়া লি. এবং জাগরণী টিভি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, মো. চাঁন মিয়া গংদের সম্প্রতি মানববন্ধন ঢাকা পোস্ট অনলাইন পোর্টালসহ অন্যান্য অনলাইন গণমাধ্যমে, আমি শাহিন আলম স্বপন এর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মানববন্ধন ও মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে, আমি তার জোরালো প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
চাঁন মিয়া গংরা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার পর যেসব সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন আমি সবার সঙ্গেই এবিষয়ে কথা বলেছি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই ঢাকা পোস্ট অনলাইন পোর্টাল চাঁন মিয়া গংদের কথিত মানববন্ধনের সূত্রধরে আমার বিরুদ্ধে একটি ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে মানহানি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। আমি এর জোরালো প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
জাগরণী মাল্টিমিডিয়া লি. নামক প্রতিষ্ঠানটির Office of the Registrar of Joint Stock Companies and Firms থেকে রেজিস্ট্রিভুক্ত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানির সব বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এই কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া বিভিন্নভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট-অপপ্রচার চালিয়ে একদিকে যেমন কোম্পানির সুনাম নষ্ট করছেন, অন্যদিকে আমার ব্যক্তিগত জীবনকেও দুর্বিষহ করে চলেছেন। মো. চাঁন মিয়ার কাছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছি। তিনি সেই টাকা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন টালবাহানা করে যাচ্ছেন। একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মামলাবাজ চাঁন মিয়া নিজেই একজন ভুমিদস্যু ও বিশ্বাসঘাতক। তিনি টাকার মাধ্যমে ভাড়াটিয়া লোকজনসহ তার অন্যতম চার সহযোগী ১। মো. কামাল হোসাইন (৩৫), ২। মো. রবিউল হোসাইন তৌফিক (৩২), ৩। শরীফ আহমেদ (২৯), ৪। মো. সুমন মিয়াকে (৪৪) দিয়ে গত ৬/৯/২০২২ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার ছবিসহ ব্যানার করে মানববন্ধন করিয়েছেন। চাঁন মিয়া গংরা নানা কৌশলে অপপ্রচারের মাধ্যমে আমার প্রতিষ্ঠান জাগরণী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড ও জাগরণী টিভি-কে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সব ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সাজানো পরিকল্পিত মানববন্ধন এবং আমার বিরুদ্ধে তার সব অপপ্রচারের প্রতিউত্তরে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই কথিত মানববন্ধনের উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আমি কখনোই জাগরণী টিভিকে স্যাটেলাইট টিভি হিসেবে দাবি করিনি। সত্যটা হচ্ছে আমি জাগরণী মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে স্যাটেলাইট টিভি ও আইপি-টিভির জন্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করি। আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সব তথ্য যাচাই বাছাই করে গত ৭/১১/২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে আইপি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়। বিভিন্ন সময়ে চাঁন মিয়া নিজেই তার ব্যক্তিগত স্বার্থে জাগরণী টিভিকে স্যাটেলাইট বলে প্রচার করতে থাকেন। জাগরণী টিভি কখনোই জেলা ও থানা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগপত্র দেয়নি সেক্ষেত্রে নিয়োগ বাণিজ্য বাস্তবতা বিবর্জিত একটি কল্পনাপ্রসূত ধারণা। অপপ্রচারের মাধ্যমে আমার প্রতিষ্ঠান জাগরণী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড ও জাগরণী টিভি-কে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সব ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেবল তাই নয় সুচতুর চাঁন মিয়া গংরা নানাভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট হয়রানিমূলক অভিযোগ এর মাধ্যমে আমার জীবন বিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
আরো উল্লেখ্য থাকে যে. সম্প্রতি মো. চাঁন মিয়ার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘৃণ্য, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা-বানোয়াট ব্যানার পোস্ট করে আমাকে অসম্মানিত করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রচলিত তথ্যপ্রযুক্তি/ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এটি একটি গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আইন ও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে এমন একটি ঘটনাও তিনি বাস্তবে প্রমাণ করতে পারবেন না। এ মর্মে আমি বলতে চাই চুক্তিপত্র অনুযায়ী 'চাঁন মিয়া' শর্ত না মেনে উল্লেখিত অপতৎপরতার মাধ্যমে তিনি চুক্তিপত্রের শর্ত ও নিয়মনীতি ভঙ্গ করছেন। এধরনের অপতৎপরতা অব্যাহত রাখলে চাঁন মিয়া গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশিত সংবাদটি ছিল একটি মানববন্ধনের। ওই মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাই সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা পোস্ট কোনো বক্তব্য যোগ করেনি।
জেডএস