দেশে যত ভালো কাজ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই হচ্ছে
বাংলাদেশে যত ভালো কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ৫০টি মুজিব কিল্লা, ৮০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২৫টি জেলা ত্রাণগুদাম উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মতো অনেক মেগা স্ট্রাকচার হচ্ছে। ৪২টি পিলার ৪১টি স্প্যান পদ্মা সেতু বহন করছে। আর বাংলাদেশের একটি পিলার, যিনি বাংলাদেশের ভার বহন করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই পিলারটি হলো আমাদের ভালোবাসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি দোয়া করি, আপনারাও দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন ওনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন, যাতে তিনি বাংলাদেশকে এভাবে এগিয়ে নিতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য কাজ করে গেছেন। আমরা যদি ২০২০ সালের করোনার ব্যবস্থাপনার দিকে তাকাই, ওই বছরের মার্চ মাসের ৮ তারিখে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আগাম সতর্কতা হিসেবে তিনি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন ২৬ মার্চ থেকে। তার আদেশে আমরা করোনাকালে সারাদেশে দেড় লাখ টন চাল, ৩ লাখ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৫০ কোটি টাকা বিতরণ করি। এর মধ্যে শিশুদের খাদ্য কেনার জন্য আলাদা টাকা এবং গবাদিপশুর খাবারের জন্য আমরা আলাদা টাকা দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সক্ষমতা বাড়াতে যন্ত্রপাতি কিনতে প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এরইমধ্যে আমরা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এ টাকা দিয়ে ১১টি লেডার কেনার কার্যাদেশ দিয়েছি। সিপিপির জন্য ৩০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান কার্যকর হলে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্র হবে। এতে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিব কিল্লা নির্মাণ করেছি। গত কয়েক বছরে ২২০টি নতুন সাইক্লোন শেল্টার, ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫৫০টি মুজিব কিল্লা করেছি। ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম করেছি।
অনুষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮৩ জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি করে মেডেল ও সনদ দেওয়া হয়েছে।
এসএইচআর/জেডএস