বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বারবার বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছে। ফসল উৎপাদন করতে না পারায় তারা অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দেশের ৭০ ভাগ মানুষ উচ্চমূল্যের কারণে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না। 

আজ (সোমবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন ও ঋণ এবং উন্নয়ন বিষয়ক এশীয় গণআন্দোলন আয়োজিত খাদ্য ও জলবায়ু প্রশ্ন বিষয়ক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, দেশে খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনে চরম সংকট তৈরি করেছে। এ সংকট মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ খুব বেশি সন্তোষজনক নয়। তার ওপর সরকার দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে একের পর এক সংকট বাড়িয়ে তুলছে। বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বাড়ানোর পরও ঘন ঘন ও দীর্ঘমেয়াদি লোডশেডিং জনজীবনে নাভিশ্বাস এনেছে। বিদ্যুতের অভাবে কৃষি ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত। পরবর্তী বছর একটি কঠিন দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রতীয়মান হচ্ছে।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদনের উৎস যথা ভূমি, সমুদ্রকে মুনাফা তৈরির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। খাদ্য ও কৃষি মানুষের অধিকার। যেকোন মূল্যে এ অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
 
সমাবেশ থেকে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো

• খাদ্য, ভূমি ও পানির ওপর অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখা 
• মৎস্য ও সমুদ্র রক্ষা করা
• ভূমির ব্যবহার হতে হবে খাদ্য উৎপাদনের জন্য, বিলাসিতার জন্য নয়
• জলবায়ু সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা চাই এখনই 
• জলবায়ু ও খাদ্য নায়বিচার করা
• অভিযোজনের জন্য সরকারী অর্থ ও কর্মসূচি নেওয়া 
• জনগণ ও সমাজের জন্য জলবায়ু সংবেদনশীলতা 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বদরুল আলম। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ. এ. এ ফয়েজ হোসেন, রেডিমেট গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডরেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালেহা ইসলাম শান্তনা, বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসনে আরা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম প্রমুখ।

আইবি/এনএফ