নতুন ক্লাসে পুরনো বছরের বই নিতে হবে শিক্ষার্থীদের/ফাইল ছবি

করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি চিহ্নিত করে সেগুলো পরের ক্লাসে পড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য ২০১৯ শিক্ষাবষের্র পুরনো বইগুলো সংরক্ষণ করতে হবে এবং বইগুলো নতুন বছরের বইয়ের সঙ্গে ক্লাসে নিতে হবে। সম্প্রতি মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে এ বার্তা পাঠিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন শ্রেণির সঙ্গে আগের ক্লাসের শিখনের সমন্বয় করার জন্য ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে পুরনো বইগুলো আগামী শিক্ষাবর্ষে ক্লাসে নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষকরা পুরনো ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ বা বিষয়গুলো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানতে চাইবে, যেখানে শিক্ষার্থীর দুর্বলতা আছে সেগুলো চিহ্নিত করবে। এছাড়াও আগের শ্রেণির সঙ্গে নতুন শ্রেণীতে যেসব অধ্যায়ের মিল রয়েছে সেগুলো সমন্বয় করে পড়ানো হবে।

বিষয়টি স্বীকার করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন বছরের প্রত্যেক ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষকরা আগের বছরের বইগুলো রিভিউ করবেন এবং শিক্ষার্থীরা ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে ক্লাস ও হোমওর্য়াকের মাধ্যমে সমাধান করবেন। এজন্য পুরনো বইগুলো বিক্রি বা নষ্ট না করে সংরক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের বলেছি। এটা করতে গিয়ে যেন শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয় সেজন্য মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে। এবিষয়ে কাজ চলছে।

জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর দেশের সকল জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন এনসিটিবি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী শ্রেণির শিখন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কিছু কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজন। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী শ্রেণির বই প্রয়োজন হতে পারে।

এ কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান শ্রেণির বইগুলো নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করতে হবে। এছাড়াও সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া পাঠ্যবইগুলো সংরক্ষণের বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিশ্চিত করতে হবে।

এনএম/ওএফ