মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, আজকে বিএনপি বড় বড় সমাবেশ করছে, বহু লোকের সমাবেশ ঘটাচ্ছে। তারা তাদের অধিকারের কথা বলতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের একটি কথার অর্থ আমি বুঝিনি। ওরা বলল, ১০ ডিসেম্বরের পর এই সরকার থাকবে না। তাহলে ১১ তারিখে কে রাষ্ট্র চালাবে, এটা পরিষ্কার হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মোজাম্মেল হক বলেন, ‘উনাদের (বিএনপি) তো চালানোর (দেশ চালানোর) কোনো সুযোগ নেই। তারা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি না যে আওয়ামী লীগকে বিদায় করে দিয়ে রাষ্ট্র চালাবে। যেহেতু তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন এবং আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিনিধি হওয়ার কোনো সুযোগও নেই, কাজেই তাদের তো রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। 

তাহলে কি কোনো অদৃশ্য শক্তি রাষ্ট্র চালাবে?- এমন প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, তারা কি সেটাই চাচ্ছেন যে কোনো অসাংবিধানিক গোষ্ঠী বা শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসুক। সেটা যদি চান তাহলে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই তাদের জাতির কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করার আহ্বান জানাই। আর যদি বলেন কোনো সংবিধান মানি না, কোনো কিছু সাংবিধানিক উপায়ে আসবে না। তাহলে বলতে চাই, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই রাষ্ট্রে একটি অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় থাকবে, এই অবস্থা যারা সৃষ্টি করতে চায় সেটা নিঃসন্দেহে অন্যায় ও অসাংবিধানিক। তাদের বিচার হওয়া উচিত।’

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সম্পাদক অশোক ধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।

এমএইচএন/কেএ