প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটে দেশে আসা ১৯ হাজার ৩১৮ জন প্রবাসীকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আশকোনার হজ ক্যাম্প, দিয়াবাড়ি ও র‌্যাবের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাদের রাখা হয়েছে।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্ক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছে।

হেলথ ডেস্ক জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) বাংলাদেশে আসা মোট ৩শ চারজনকে দিয়াবাড়িতে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে দেশে আসা সব যাত্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট আনা বাধ্যতামূলকমূলক করা হয়েছে। তবে ৩শ চারজনের কারো সঙ্গে সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের দিয়াবাড়ির কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

আরও জানানো হয়, দেশে আসা প্রবাসীদের মধ্যে যাদের শরীরে কোভিডের লক্ষণ বা উপসর্গ ছিল এবং যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি ছিল তাদেরই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমানে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট না আনলেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।

সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ৫ ডিসেম্বর থেকে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট আনা বাধ্যতামূলক করেছে।

এক সার্কুলারে বেবিচক জানায়, ওইদিন থেকে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, বাহরাইন, চীন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা প্রবাসীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলকভাবে আনতে হবে। একইসঙ্গে নেগেটিভ সনদ নিয়ে বাংলাদেশে এলেও প্রত্যেক যাত্রীর হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিমানবন্দরে যাত্রী ও পাইলটদের বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বেবিচক।

এআর/জেডএস