সেবার ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী
বিমানবন্দরে নিয়োজিত কর্মীদের সবসময় বিমানবন্দরকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা না দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ যাত্রী টার্মিনালের বর্ধিতাংশ, আন্তর্জাতিক বহির্গমন হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য স্থাপিত কর্নার এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নবনির্মিত যাত্রী লাউঞ্জের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসি। প্রথমেই নির্দেশ দেই যেন ওয়াশরুমগুলো আন্তর্জাতিকমানের হয়। এরইমধ্যে এগুলো আন্তর্জাতিকমানের মতো করে সাজানো হয়েছে।
বিমানবন্দরের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা বিমানবন্দরের কাজে নিয়োজিত আছেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন। এয়ারপোর্টে যদি কোনো কাজের ব্যত্যয় ঘটে, সার্ভিসের বা উন্নয়নের ব্যাপারে যদি কারো বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযোগ পাই, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। সবার কাছে অনুরোধ আপনারা বিমানবন্দরের মান উন্নত রাখবেন।
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দরের সৌন্দর্যবর্ধন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন যাত্রী যখন সুইজারল্যান্ডের বিমানবন্দর থেকে আসেন, দেশটির বিমানবন্দর তিনি যেমন দেখেছেন, বাংলাদেশে নেমে সেই দেশের মতোই বিমানবন্দর দেখতে চান। ঢাকা, চট্টগ্রাম আর সিলেট; যাই বলেন তারা সব বিমানবন্দর একই ধরনের ও অত্যাধুনিক দেখতে চান। তাই আমরা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অত্যাধুনিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ করে যাচ্ছি। তারই একটি নিদর্শন আজকের এই লাউঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আমরা চাই একজন যাত্রীর বিমাণ ভ্রমণই শুধু আরামদায়ক হবে না, ভ্রমণের আগে, ভ্রমণের পরে যখন তারা লাউঞ্জে বসবে তারা যাতে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারে এধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ অংশে লাউঞ্জসহ বর্ধিতাংশের উদ্বোধন করেন। ৮ হাজার স্কয়ার ফিটের ডিপার্চার লাউঞ্জে দুটি এস্কেলেটর লিফট, ৮টি টয়লেট ও ৪টি ওযুখানা করা হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৪৫০ জন যাত্রী বসতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রীর উদ্বোধন করা সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও বিপুল পরিবর্তন এসেছে। বিমানবন্দরটির কনকর্স হলে আগে ১২০ জন বসতে পারতো, বর্তমানে ৪০০ জন একসঙ্গে বসতে পারবে। এছাড়াও বিমানবন্দরটিতে মোট ৭০ জন ভিআইপি ও সিআইপির জন্য লাউঞ্জ সুবিধা যুক্ত হয়েছে এখানে। পাশাপাশি ৪টি চেক-ইন কাউন্টার, ৫টি টিকিট কাউন্টার, ১টি কনভেয়র বেল্ট, নামাজ ঘর করা হয়েছে।
একই সময়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে বয়স্ক, মুক্তিযোদ্ধা ও অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য একটি পৃথক লাউঞ্জ ও মুজিব কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ২৪ জন বসে সময় কাটাতে পারবেন।
এআর/জেডএস