একাত্তরের বিজয় বাঙালি জাতির অর্জনের প্রতীক: মোস্তাফা জব্বার

একাত্তরের বিজয় বাঙালি জাতির অর্জনের প্রতীক বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগীয় কর্মচারী ইউনিয়ন আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে অনলাইন আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেছেন, এই অর্জনের ৪৯ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে, তা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখছে। এটাই মহান বিজয়ের বাঙালির অর্জন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, পাকিস্তানের মানুষ আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে পৌঁছাতে তাদের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ কোথায় পৌঁছাবে সেটাও তারা জানে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের সংগ্রামের ফসল। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছেন। কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ কাটিয়ে ৪৭ সালের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান যে বাঙালির জন্য নয়, সেটা পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে এদেশে ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে গাঁথা। তাকে বাঙালির হৃদয় থেকে কখনও মোছা যাবে না। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে উপনীত করেছেন। উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে গত ১২ বছরে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। 

মন্ত্রী আরো বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল করার মাধ্যমে দেশের আধুনিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।  ডাক অধিদপ্তরের সর্বস্তরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল ডাকঘর বাস্তবায়নের এই লক্ষ্য অর্জনে কোন অবহেলা বরদাশত করা হবে না বলেও মন্ত্রী হুশিয়ার উচ্চারণ করেন।

আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ন-সচিব জেহসান ইসলাম, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক হারুনুর রশিদ, ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেম হালদার, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ