উদ্বোধন অনুষ্ঠান

বিদেশফেরতদের দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পের ল্যাবে অত্যাধুনিক জিন এক্সপার্ট মেশিন বসানো হয়েছে। এখন মাত্র ৪৫ মিনিটেই বিদেশফেরতদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে এবং একসঙ্গে ৪ জনের পরীক্ষা করা যাবে।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জিন এক্সপার্ট মেশিন উদ্বোধন করেন। এ সময় আরটি-পিসিআর মোবাইল ল্যাব কার্যক্রম এবং অ্যান্টিজেন টেস্টেরও উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বড় বড় রাষ্ট্র বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লকডাউন হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা সে সমস্ত দেশের তুলনায় অনেক ভালো। করোনা আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা ভালো আছি সেটা স্বীকার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করেছি। আমাদের পিসিআর ল্যাব চালু আছে, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়েও করোনা পরীক্ষা চালু আছে। পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা চালু আছে। কিন্তু টেস্টের জন্য তো রোগীদের আসতে হবে।’

রোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আসেন। টেস্ট করান, চিকিৎসা নেন, সেবা নিন। আপনারা ভালো থাকবেন।’

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের  নতুন  একটি রূপ নিয়ে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতসহ প্রায় ২০টি দেশ। ফ্লাইট বাতিল করা দেশের মধ্যে রয়েছে কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, ইরান, সৌদি আরব।এছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ এবং লাতভিয়া।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এত ঘনবসতির মধ্যে আজকে মৃত্যুর হার অনেক কম। ইদানিং আবার একটু বেড়েছে। আমরা যদি করোনাকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারি তাহলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হবে। শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে, আমাদের অর্থনীতি ব্যাহত হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়ানোর পরে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার অন্তত ৪০টি দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। আমরাও এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছি। পরিস্থিতি সে পর্যায়ে গেলে আমরাও বিমান চলাচল বন্ধ করে দিব।’ 

তবে আরেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে আপাতত লন্ডনের ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছি। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে লন্ডন থেকে যারা আসছেন তাদের আলাদাভাবে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এছাড়াও সবাইকে কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসানসহ আরও অনেকে।

টিএ/এইচকে/এনএফ