পুলিশ বলছে ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পেলে হত্যা করতে দ্বিধা করেন না এ চক্রের সদস্যরা

ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য তারা ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকা থেকে যান নীলফামারীতে। সেখানে তারা টার্গেট করা ইজিবাইকে যাত্রী হিসেবে ওঠেন। এরপর নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন চালককে। বাধা দেওয়ায় হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর রাস্তায় ফেলে দেন চালক আবদুল হালিমকে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতের ওই ঘটনায় চক্রের তিনজনকে গ্রেফতারের পর সিআইডি বলছে, চক্রটির সদস্যরা মূলত ঢাকা ও আশপাশ এবং উত্তরবঙ্গে সুবিধা মতো ছিনতাই করে।  ছিনতাইয়ে বাধা পেলে হত্যা করতেও দ্বিধা করে না চক্রের সদস্যরা।

সোমবার দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম। তিনি বলেন, নীলফামারীতে চালক আবদুল হালিমকে হত্যা করা ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের গ্রেফতার তিন সদস্য হলেন- মাসুম আলী, সাদের আলী এবং সমবারু।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন শেখ নাজমুল আলম

গতকাল রোববার তাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মইকুলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ইজিবাইক বিক্রির চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয়। চক্রের মূলহোতা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১১টার দিকে চক্রের সদস্যরা যাত্রীবেশে আবদুল হালিমের ইজিবাইকে ওঠেন। পরে তারা হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়নের ইটাপীড় সেতু সংলগ্ন সড়কের পাশের গর্তে হালিমের রক্তমাখা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নীলফামারী জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

ওই ঘটনায় পর দিন বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির এলআইসি শাখা এর ছায়া তদন্ত শুরু করে।

চক্রটির প্রসঙ্গে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ঢাকার আশপাশে বসবাস করে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। তারা ঢাকাসহ এর আশেপাশে এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অপরাধ করে থাকে। এরা ঢাকা থেকে নীলফামারীতে গিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে সেটি ৭৬ হাজার টাকা বিক্রি করে আবার ঢাকায় ফিরে আসে।

জেইউ/এনএফ