আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক আর নেই।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

বিষয়টি খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইয়া। 

ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ডা. এস এ মালেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও ৬ দফা আন্দোলনসহ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আবদুল মতিন ভূইয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ শরীরের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এস এ মালেকের মরদেহ রাতে বিএসএমএমইউর হিমঘরে রাখা হবে। বুধবার পরিবারের সবাই আলোচনা করে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তার দুই সন্তান দেশের বাইরে রয়েছেন। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য আনন্দ কুমার সেন জানিয়েছেন, কাল বাদ জোহর কলাবাগান মাঠে তান নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এক শোকবার্তায় তিনি এস এ মালেকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ডা. মালেকের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করি এবং পরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জের সময়ে মালেকের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং ১৯৯৬ সালে তিনি যখন বস্টনে আসেন তখন তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বাড়ে। এরপর আমি যখন সৌদি আরবে ছিলাম তখন আমাদের আমন্ত্রণে তিনি সৌদিতে এসেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালেক অত্যন্ত সজ্জন, প্রতিশ্রুতিশীল ও সাহসী নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।

ডা. এস এ মালেক মালেক ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

এমএসআই/এনআই/এসএম