কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় এসআইয়ের স্ত্রী কারাগারে
আসামি গোলজার বেগম
এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) দায়ের করা মামলায় গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নওয়াব আলীর স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে গোলজার বেগম জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামি গোলজার বেগম। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় আগামী ৬ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চেীধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে ২০২০ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গোলজার বেগম, তার স্বামী এসআই নওয়াব আলীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি গোলজার বেগম আজ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গোলজার বেগম চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার স্বামী নওয়াব বর্তমানে ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে রয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে দুদকের উপপরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে দুদক ঢাকা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী। বর্তমানে তিনি এসআই পদে কর্মরত। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। গোলজার মাছ চাষ থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ এক হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।
কেএম/এসএম/এমএমজে