মশার ওষুধের ডোজিং নিয়ে চিন্তা করছি : মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা দেখবো এই দশ দিনের অভিযান শেষে কী ফল দাঁড়ায়। থার্ড পার্টির কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে জানাবে কী কী ভুল হয়েছে। আমি ভুলগুলো আপনাদের জানাবো। এগুলো লুকানোর কিছু নেই। আমরা কীটনাশকের পরিমাণ (ডোজিং) নিয়ে চিন্তা করছি। অনেক ক্ষেত্রে মশা নকডাউন হচ্ছে না। ডোজিং বাড়ানো যায় কি-না সে বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদদের সাথে কথা বলছি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এলাকায় মশক নিধনের অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র অভিযানের মিরপুরের পাইকপাড়া, দক্ষিণ বিশিল গোদাখালি খাল, পাল পাড়া ঘাট বেড়িবাঁধ, দারুসসালাম ঈদগাহ মাঠ, কচুক্ষেত ইব্রাহিমপুর খাল এলাকা পরিদর্শন করেন।
বিজ্ঞাপন
পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল আমি সাগুফতা খালে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখেছি পয়োনিষ্কাশন লাইন খালের ভেতরে। এখানে একটা চ্যালেঞ্জ আমি দেখেছি। গতকাল সকালে আপনারা দেখেছেন ফগিং করেছি ফুটপাথের নিচে যে ড্রেন আছে সেখানে। কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে বলেছেন ফুটপাতের নিচে ড্রেনে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। শহরের আনাচে-কানাচে প্রচুর ডোবা আছে। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা যে পদ্ধতি এখন অবলম্বন করেছি এটা খুবই কষ্টসাধ্য। ডিএনসিসির অন্য ৯টি অঞ্চলের সকল মশক নিধন কর্মী, সকল যন্ত্রপাতি একটি অঞ্চলে নিয়ে এসেছি ব্যাপকভাবে, সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য। অভিযান শেষে প্রতিদিন রাতে আমরা মিটিং করছি অভিযানের পর্যালোচনা করতে।
মেয়র আরও বলেন, এখানে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য আমাদের আরও আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। ফুটপাতের নিচে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেখানে একটি টেকনিকাল ভুল আছে। ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কীটতত্ত্ববিদদের রাখতে হবে। কিভাবে ফুটপাতের নীচে ড্রেন তৈরি করলে একই সাথে পানি অপসারণ হবে আবার মশার প্রজননও যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, যার যার আঙিনায় ডোবা-নালা ইত্যাদি পরিষ্কার করে নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। পাবলিক ড্রেন, খাল ইত্যাদি নিয়ে আমরা কাজ করবো। গতকাল যেসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল সেখানে আজ মশার উপদ্রব কমে এসেছে। এছাড়া এ অভিযান শেষ হলে মশক নিধন কর্মীদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এএসএস/এনএফ