চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. দুদু মিয়া সরকার (৩৮) নামে একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট রোডের গণ্ডামারা ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দুদু মিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সালমারা বাজার বিরাহিমপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হযরত আলী। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুদু মিয়া কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের বাঁশখালীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে তিনি ৩ বছর ধরে বাঁশখালীতে অবস্থান করে আসছেন। তার বাড়ি বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে বাসায় খাবার খেয়ে দুদু মিয়া অফিসের কাজে বের হন। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি স্ত্রীকে ফোনে জানান তার ফিরতে একটু দেরি হবে এবং তিনি গণ্ডামারা বাজারে রয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ছুরিকাহত হন তিনি এবং পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী তাজমিন নাহার তমা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, দুদু মিয়া বিভিন্ন দোকান থেকে অর্ডার নিতেন। তবে তিনি মালামাল সাপ্লাই কিংবা টাকা ওঠাতেন না। এ হিসেবে তার কাছে কোম্পানির বেশি টাকা থাকারও কথা নয়। ধারণা করা হচ্ছে, অর্ডার নিতে গিয়ে কারও সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছে। এ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

দুদু মিয়ার এক নিকটাত্মীয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জানা মতে দুদু মিয়ার সঙ্গে কারও ঝামেলা ছিল না। তার আড়াই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। একজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এফকে