সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ

সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের চার বারের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তিনি এ শোক জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। তার শূন্যস্থান কখনই পূরণীয় নয়।’

মন্ত্রী বলেন, এম আমান উল্লাহ তার নির্বাচনী এলাকাসহ দেশবাসীর কাছে অতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার এই অকাল প্রয়াণে জাতির অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের ই খোদা দীপ ঢাকা পোস্টকে এম আমান উল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আমান উল্লাহ ল্যাবএইড হাসপাতালে দুপুরের দিকে মারা গেছেন। হার্ট অ্যাটাক নিয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর সময় ডা. আমান উল্লাহ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বাদ জুমা ভালুকা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ও পরে উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের সায়েরা সাফায়েত স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ এশিয়ার মধ্যে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি ১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হোন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ এর সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হোন। বার্ধক্যজনিত কারণে ২০১৮ এর সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। সর্বশেষ অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

টিআই/এমএইচএস