ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার সর্বোচ্চ, বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ দাবি করেন। প্রশ্নকর্তা জানতে চান, বিভিন্ন গবেষণায় বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হার দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ’। এম আব্দুল লতিফ গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা আছে কি না তা সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। এসময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গবেষণার তথ্য সত্য নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হেলথ র‌্যাংকিং অনুসারে ১৮৩টি দেশের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হারে বাংলাদেশের অবস্থা ৮৮তম (মৃত্যু হার এক লাখে ১৬ দশমিক ৭৪ জন)। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরই আমাদের অবস্থান।

মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কগুলোতে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে কয়েকটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য জেলা হাসপাতালে গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারী যানবাহনের ড্রাইভারদের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রামের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসিতে কর্মরত সব চালকের পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এসআর/জেডএস