আসছে ৩০ জানুয়ারির বৈঠকেই বাংলাদেশের জন্য সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ এ আশা প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ শেষে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এর আগে রোববার (১৫ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বিবৃতিতে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ঋণ কর্মসূচির মূল বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিয়েছি। রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, আরও দক্ষ একটি আর্থিক খাত গড়ে তোলার মত দীর্ঘদিনের চালেঞ্জগুলো আলোচনায় এসেছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ ও রপ্তানি বহুমুখীকরণে উৎসাহ দিলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সহনশীল করে তুলবে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। জলবায়ু বিনিয়োগে বাংলাদেশের চাহিদা পূরণে সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পাশাপাশি আমদানি নির্ভর জলবায়ু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোও আইএমএফের ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) লক্ষ্য।

সব ঠিক থাকলে ৪২ মাসের চুক্তিতে সরকারের নেওয়া ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিতে’ সহায়তা হিসেবে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি থেকে ৩২০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাবে বাকি ১৩০ কোটি ডলার। প্রাথমিক সমঝোতা অনুযায়ী ২০২৬ সালে শেষ কিস্তি হাতে পাবে বাংলাদেশ। সুদের হার হবে ২.২ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে রাজি আইএমএফ। এই অর্থ সাত কিস্তিতে পাবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম কিস্তির ৩৫২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার তারা ছাড়তে পারে।

এসআর/কেএ