চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা সাময়িক বন্ধ রেখেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে কাঁচামাল সংকটের অজুহাতে হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ রোগীদের বিকল্প ব্যবস্থায় ডায়ালাইসিস করানোর জন্য নির্দেশনা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চমেক হাসপাতালে ভারতের প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দিয়ে থাকে। ভর্তুকি এবং ভর্তুকি ছাড়া দুইভাবে প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের এই সেবা দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা হঠাৎ একটি নোটিশ সাঁটিয়ে দেয়।

এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে স্যান্ডরের সেবার বিপরীতে ৩১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কয়েকমাস ধরে অনেক প্রতিষ্ঠান কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এ অবস্থায়ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে নগদ টাকায় মালামাল ক্রয় করে সেবা চালু রাখা হয়। তবে বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ না থাকার কারণে মালামাল ক্রয় কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই ডায়ালাইসিস সেবা আগামী দুই এক দিন বিঘ্নিত হতে পারে। এ সময় রোগীদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্যান্ডরের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা যে প্রতিষ্ঠান থেকে কাঁচামাল ক্রয় করি, সেখানে অনেক টাকা বকেয়া হয়েছে। তারা মালামাল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এ কারণে সাময়িক একটু সমস্যা হচ্ছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাময়িক একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সালে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর ম্যাডিকেইডস প্রাইভেট লিমিটেড স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টেন্ডারে অংশ নেয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ১০ বছরের জন্য কাজ পায়। এরপর বাংলাদেশের জয়েন্ট স্টকে স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধিত হয়। এই কোম্পানি ২০১৬ সালের অক্টোবরে জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে ডায়ালাইসিসের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর ২০১৭ সালের ৪ মার্চ চমেক হাসপাতালে কার্যক্রম শুরু করে। 

এসকেডি