আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগপারে আয়োজিত মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হতে যাচ্ছে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন লাখ লাখ মুসল্লি। 

ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বে তিন দিনের অংশগ্রহণকারীরা তো আছেনই, শুধু আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালেও মুসল্লিদের আসতে দেখা গেছে। তারা সবাই আখেরি মোনাজাতের অপেক্ষায় রয়েছেন।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন রিপন মিয়া। তিনি জানান, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রাতেই ইজতেমা ময়দানে এসেছেন।

আনিস নামের আরেক মুসল্লি জানান, শেষ রাতে সাভার থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে ইজতেমা মাঠে এসে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর তিনি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বসেছেন। দুপুর আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়ে তিনি সাভারে ফিরে যাবেন।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লা থেকে ইজতেমা ময়দানে পৌঁছেছেন আমির হোসেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় এসেই ১০ টাকা দিয়ে পলিথিন কিনে মহাসড়কে বিছিয়ে রাত থেকে আখেরি মোনাজাতের জন্য অপেক্ষা করছেন। মোনাজাতে নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনসহ দেশ ও দেশের মানুষদের জন্য দোয়া করবেন।

আশুলিয়া থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আশুলিয়া থেকে শনিবার বিকেলে রওনা হয়ে রাতে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া সড়কে পাটি বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। লাখো মুসল্লির সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানান। এখন আখেরি মোনাজাতের অপেক্ষায় আছেন।

মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য দোয়া চাইতে শরিয়তপুরের নড়িয়া থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন খাইরুল ইসলাম। তিনি জানান, সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রথম আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন। জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা হলো জানিয়ে তিনি বলেন, রাত থেকে লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে অপেক্ষা করেছি, অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, বিভিন্ন মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনেছি। আমি তাদের জন্য দোয়া করব। ইজতেমায় আসার সময় প্রতিবেশী অনেকেই দোয়া চেয়েছে। আমি তাদের জন্যও দোয়া করব।

শিহাব খান/কেএ