নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আসন্ন রমজান মাসে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আদা, রসুন, হলুদ ও শুকনো মরিচের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, রমজানের আগে আমাদের দেশি পেঁয়াজ উঠবে। এতে করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই। ৫০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম। কিন্তু আদা, রসুনের বাজার অস্থির। রমজান আসার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে আদা, রসুনের দাম বাড়ছে। কিছু পণ্য হয়তো আমদানি নির্ভর, ডলারের দাম বৃদ্ধি অনুসারে ২৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারতো। কিন্তু ডলারের বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বাজার আরও অস্থির হয়ে যাবে।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমদানি না হওয়ায় আদা, রসুনের দাম বাড়ছে। ভারত থেকে রসুন আমদানি বন্ধ ছিল। চায়না থেকেও আমদানি হচ্ছে না। আদা, রসুন আমদানিতে এলসি না পেলে দাম বাড়বে।

ব্যবসায়ীদের এলসি চাওয়ার বিষয়ে ক্যাবের সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য একেক সময় একেক বাহানা দেয়। এক সময় ডলার সমস্যা, আবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এবার এলসি সমস্যাকে অজুহাত হিসেবে এনেছে।

সভায় ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেশি হতে পারে। তবে এর বেশি হওয়ার কথা নয়।

মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া সহ আদা-রসুন, হলুদ ও শুকনা মরিচের খুচরা এবং পাইকারী ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস