বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বেইজিং আশা করছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরু হবে।’

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রত্যাবাসন নিয়ে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থন চান। তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে চীনের সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বিদ্যমান ও আসন্ন প্রকল্পগুলোর দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত (ডিএফকিউএফ) প্রবেশাধিকার ৯৭ শতাংশ থেকে ৯৮ শতাংশে উন্নীত করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সুবিধা কার্যকর হবে।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান মোমেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চীন আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করবে।

চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, চীন ২০২৩ সালের ১১ থেকে ১৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আসন্ন বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে অংশ নেবে।

এনআই/এমজে