রাজধানীর মগবাজারে প্লাস্টিকের ড্রামে আগে থেকেই বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ছিল। দেশি ককটেল থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে নাকি সেখানে অন্য কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল তা তদন্ত করে দেখছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। 

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ড্রাম থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ফেলে দেওয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজন পথচারী। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসে ও আলামত সংগ্রহ করে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, আগে থেকেই ড্রামের ভেতরে যে কেউ বিস্ফোরকটি রেখে দিয়েছিল। অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়ার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরকটি কে রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে সেটা উদঘাটনের জন্য কাজ করছি।

আরও পড়ুন>>মগবাজারে বিস্ফোরণ, একাধিক আহত

তিনি আরও বলেন বলেন, এটা কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল, দেশি ককটেল নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য তা জানার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। 

বিস্ফোরণের বিষয়ে সিটিটিসি কী সন্দেহ করছে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো কিছু সন্দেহ করছি না। ধারণা করছি কেউ হয়তো বিস্ফোরকটি রেখে গিয়েছিল। তবে মোটিভ জানতে পারলে আমরা এটা বের করতে পারব।

এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এমন কোনো বিষয়ে সন্দেহ করছি না। তবে প্রাথমিকভাবে সব বিষয়কে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।  

অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি বড় ধরনের বিস্ফোরণই ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বিস্ফোরণের আঘাতের চিহ্ন দেখে আমরা ধারণা করতে পারছি।

এর আগে, আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে দিকে মগবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩-৪ জন আহত হন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। 

এ ঘটনায় একজন প্রকৌশলীসহ ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তিন কর্মচারী আহত হন। তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম (৩৬), মো. তারেক (২০), আবুল কালাম (২৫) ও মো. শাহীন (৩০)। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এমএসি/কেএ