চট্টগ্রামে পতেঙ্গায় এক তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ‘কিশোরী গ্যাং লিডার’ তাহমিনা সিমিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ মার্চ) নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা তাকে আটক করা হয়েছে। 

পতেঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, পতেঙ্গার সৈকত এলাকায় এক মেয়েকে মারধর ও হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে।  ওই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা দায়ের শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
 
তিনি আরো বলেন,  সিমির সঙ্গে ওই তরুণীর আগে থেকেই ঝামেলা ছিল। সিমি নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে। আর ভুক্তভোগী তরুণীও ইপিজেড এলাকায় থাকেন। তার বাড়ি বাগেরহাটে।  

ভাইরাল হওয়া এক মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সিমি ও তার এক ছেলে বন্ধু কথা বলছেন ওই তরুণীর সঙ্গে। দাঁড়িয়ে থাকা তরুণী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তার ছেলে বন্ধুকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘আমারে মারার জন্য ছুরি নিয়ে এসেছিলি, এখন কি করতে পারি।’

ওই তরুণী তখন বলেন, ‘আমারে মারো, মারো না।’ পাশে থাকা সিমির ছেলে বন্ধু তখন ওই তরুণীকে মাথায় থাপ্পড় দিয়ে বলে, ‘এভাবেও তো মারা যায়।’ 

তখন ওই তরুণী বলেন, ‘প্লিজ ভাই...।’ এরপর সিমি আবার বলেন, ‘আমারে ছুরি নিয়ে মারার কথা বলে।’ এরপর আবার সিমির বন্ধু ওই তরুণীকে থাপ্পড় দিয়ে বলতে থাকে, ‘এভাবে মারা যায়।’ সিমির ছেলে বন্ধু বলেন, ‘তুমি তাকে মারবে কেন।’ তখন ওই তরুণী বলেন, ‘সরি সরি...।’ 

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সিমির ছেলে বন্ধু আবার কয়েকটি থাপ্পড় দেয় ওই তরুণীকে। আর বলতে থাকেন, ‘আমাকে চেন তুমি।’ 

এরপর সিমি বলেন, ‘আমি চাইলে তুমি এখান থেকে জীবিত যেতে পারবে না। তুমি ঐ দিন কোন সাহসে ছুরি নিলে। আমি চাইলে তুমি যেতে পারবে না।’

এ সময় নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী সিমির হাত ধরে অনুনয় করতে থাকেন। সিমি বলেন, ‘তুমি জানো আমি বললে তােমার লাশ ফেলে দিবে এখানে।’ 

তবে সিমির ছেলে বন্ধুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে বাসায় গিয়ে এক তরুণীকে মারধরের ঘটনায় গত বছরের ২৮ আগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন সিমি।

কেএম/ওএফ