আগামী দিনের বাসযোগ্য নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনাবিদদের কাজ করার সুযোগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পরিকল্পনাবিদরা। পাশাপাশি এ পেশার মর্যাদা বৃদ্ধিতে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ আহ্বান জানান তারা।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) বার্ষিক সাধারণ সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, পরিকল্পনাবিদদের কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন সহযোগী হতে পারে। পরিকল্পনা পেশার স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে সব পরিকল্পনাবিদকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিআইপি পরিকল্পনা শিক্ষা ও পেশার উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করে আসছে। উক্ত চেষ্টাকে আরও সুদৃঢ় এবং প্রসারিত করার লক্ষ্যে বিআইপির ১৫তম নির্বাহী পরিষদ ইনস্টিটিউট এর সব কর্মকাণ্ডে সদস্যদের সম্পৃক্ততা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করেছে।

সভায় পরিকল্পনা পেশার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়গুলোর মধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পরিকল্পনার জন্য উপযুক্ত কাঠামো প্রস্তুতকরণ, স্থানীয় পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণে বাস্তবসম্মত টার্মস অব রেফারেন্স প্রণয়ন অব্যাহত রাখা, স্মার্ট পরিকল্পনা প্রণয়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্মার্ট পেশাজীবী ও পরামর্শক ফার্ম প্রস্তুতকরণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠানের সাথে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের আরও জোরালো যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা, বিআইপির গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিআইপির ১৫তম কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান ২০২২ সালে বিআইপির বিভিন্ন কার্যাবলী এবং তার বার্ষিক অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বিশদ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বিগত বছরে ৪টি কৌশলগত স্তম্ভের আওতায় বিআইপি কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইপি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ রাসেল কবির, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. গোলাম রহমান প্রমুখ।

এএসএস/এফকে