চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনুমানিক ১৮ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে ওই তরুণের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২২ জানুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে ষোলশহর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কার্যালয়ের পাশে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির প্রবেশমুখে রাস্তার ওপর ১০ থেকে ১২ জন ভুক্তভোগীকে মারধর করেন। এরপর আহত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে তারা চলে যান। এ অবস্থায় একজন পথচারী বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানান। সংবাদ পেয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে মারা যাওয়া তরুণ মাঝে মধ্যে পাঁচলাইশ থানার দুই নম্বর গেট এলাকায় আসতেন। ঘটনার দিন এক ব্যক্তির মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এরপর কয়েকজন তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে চলে যান। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আমরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারেননি। তবে তিনি আদৌ কথা বলতে পারেন নাকি তিনি বোবা ছিলেন সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ঘটনা রাতে অন্ধকারে হওয়ায় ভুক্তভোগীকে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও অভিযুক্তদের শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এমআর/এসএসএইচ/