করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) ২০২২ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের অবস্থান তলানিতে। তবে বিস্ময়করভাবে দেশটি তাদের স্কোরে উন্নতি করেছে। গত ১২ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানের আট পয়েন্ট উন্নতি হয়েছে। অর্থাৎ তাদের আগেকার দুর্নীতির চিত্র থেকে তুলনামূলক উন্নতি ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য  উপস্থাপন করা হয়েছে।

সূচক অনুযায়ী, ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থান ভুটানের। গত বছরের মতো তাদের পয়েন্ট এবারও ৬৮। বৈশ্বিক স্কোর অনুযায়ী অবস্থান ২৫তম। অন্যদিকে অপরিবর্তিত স্কোর মালদ্বীপেরও ৪০, অবস্থান ৮৫তম।

ভারতের অবস্থাও অপরিবর্তিত স্কোর ৪০, অবস্থান ৮৫তম। তবে শ্রীলঙ্কার স্কোর ও অবস্থানে অবনমন ঘটেছে। তাদের গত বছরের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে স্কোর হয়েছে ৩৬, অবস্থান ১০১তম। নেপালের উন্নতি ঘটেছে। স্কোর হয়েছে ৩৪, সাত ধাপ উন্নতিতে অবস্থান ১১০তম। পাকিস্তানের এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে স্কোর ২৭, অবস্থান ১৪৭তম। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। পাকিস্তানের মতো এক পয়েন্ট অবনমন ঘটে স্কোর হয়েছে ২৫, বৈশ্বিক অবস্থান ১৪৭তম। তারপরই আফগানিস্তান। তবে আফগানিস্তানের স্কোর আট ধাপ উন্নতিতে হয়েছে ২৪, যা গত বছর ছিল ১৬। ২৪ ধাপ উন্নতিতে বৈশ্বিক অবস্থানে ১৫০তম দেশ আফগানিস্তান। 

সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভুটানের অবস্থান ৫০তম, ভারত ২৫তম, মালদ্বীপ ২৫তম, শ্রীলঙ্কা ২২তম, নেপাল ২১তম, পাকিস্তান ১৪তম, বাংলাদেশ ১২তম ও আফগানিস্তান ১১তম।

এ বছর সিপিআইয়ের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য হলো সংঘাত, শান্তি ও নিরাপত্তা। দুর্নীতি রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সামগ্রিকভাবে শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। দুর্নীতি সংঘবদ্ধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড— এমনকি সন্ত্রাসবাদের জন্যও উর্বর ভূমি তৈরি করে। কারণ দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অপরাধীরা তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী করে।

জেইউ/এসএসএইচ/