চট্টগ্রামে এক শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে তার জমজ ভাইকেও। এছাড়া অপহরণের শিকার ভিকটিম মো. ইকবাল হাসানকে (১৩) উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

রোববার (১৪ মার্চ) চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার জিসান উদ্দিন বাকলিয়া থানার ক্ষেতচর এলাকার বাসিন্দা। 

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, অপহৃত শিশুটি সীতাকুণ্ডের একটি হেফজখানার ছাত্র। গত ৬ মার্চ হেফজখান থেকে চকরিয়ায় বাড়িতে যাওয়ার পথে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জিসান উদ্দিন ও তার ভাই জিয়াম উদ্দিন বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকার গোল চত্ত্বরের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের সামনে রাস্তার ওপর থেকে শিশুটিকে অপহরণ করে। ঐদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টার দিকে ভিকটিমের বাবার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে আসামিরা তার বাবাকে জানায় যে, তার ছেলে মো. ইকবাল হাসানকে অপহরণ করা হয়েছে। ইকবাল তাদের হেফাজতে আছে বলে জানায়।

তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীরা ভিকটিম ইকবাল হাসানের বাবার কাছে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন ইকবালের বাবা নুরুল হক ছেলের কথা চিন্তা করে কাউকে কিছু না বলে তাদের কথায় রাজি হয়ে ৯ হাজার ৫শ টাকা নগদ অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও ছেলের কোনো সন্ধান না পেয়ে বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নুরুল হক।

এরপর বাকলিয়া থানা পুলিশ রোববার অভিযান পরিচালনা করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি জিসান উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ইকবালকে।

ওসি রুহুল আমিন বলেন, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অপহরণকারী জিসান উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর দুইদিন আগে তার অপর ভাই একটি চুরির মামলায় কারাগারে যাওয়ায় তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপহরণকারী দুই জমজ ভাই এর আগেও একই ধরনের অপরাধে একাধিকবার কারাগারে যায়। কিন্তু ছাড়া পেয়ে তারা আবার অপরাধে জড়িয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার সময় ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন দুই মাস আগে ক্ষেতচর এলাকার জনৈক সিরাজের কাছ থেকে আসামি জিয়াম উদ্দিন চুরি করে। পরে আসামিরা চুরি করা মোবাইল সেট এবং সিম ব্যবহার করে এই অপহরণ এবং মুক্তিপণের ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোবাইল সেট দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

কেএম/জেডএস