তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিখাতের গ্রাহকদের ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) সংগঠনের নেতারা। তারা ই-কমার্স সেবা, অনলাইন রাইড শেয়ারিং, অনলাইন ফুড ডেলিভারি সিস্টেম, ই-টিকেটিং, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, টেলি যোগাযোগসহ অনলাইনে সেবা নেওয়া গ্রাহকরা যেন ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় অভিযোগ জানাতে পারেন।

সোমবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২১’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ভোক্তা সমাবেশে তারা এ দাবি জানান। এ সময়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

 টিক্যাবের সদস্যদের চার দাবি হলো- তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সংশোধন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে আরও জনবান্ধব ও শক্তিশালী করা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বরাবর অনলাইনে অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি। ১৫ দিনের মধ্যে ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি।

ছোট পরিসরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল ও ক্রমবিকাশমান বাজার ব্যবস্থাপনার দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকারবিরোধী কাজগুলো রোধ করা খুবই জরুরি। অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এ দেশের প্রচলিত পণ্যের গ্রাহকদের বিষয়টি উল্লেখ আছে। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের গ্রাহকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি স্পষ্টভাবে নেই।

তারা বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্যোগ, ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নতুন নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল মাধ্যমে একটি বিশাল ভোক্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব ভোক্তার অধিকার রক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এরফলে প্রতিনিয়ত এসব খাতের ভোক্তারা ঠকছেন।

বক্তারা জানান, কোন ভোক্তা যদি তার পণ্য বা সেবা নিয়ে অভিযোগ জানাতে চায় তাহলে তাকে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কিংবা অধিদফতরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করতে হয়। এরপরে রয়েছে শুনানি ও প্রয়োজনে আদালতের দীর্ঘসূত্রতা। এ আইনকে আরও জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করতে গ্রাহক অভিযোগ এবং তা নিষ্পত্তির বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে করা যেতে পারে। পাশাপাশি দ্রুততার সাথে ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করলে সারাদেশের গ্রাহকরা অভিযোগ জানাতে উৎসাহিত হবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- টিক্যাবর আহ্বায়ক মো. মুর্শিদুল হক, ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা মো. ইকবাল আমীন, সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরসহ প্রমুখ।

একে/ওএফ