রাষ্ট্রায়ত্ত পাট, চিনি ও সুতা কল চালু করাসহ আখচাষি ও পাটচাষিদের রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) জাতীয় ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বাড়ছে। সে অনুযায়ী পাট উৎপাদন হচ্ছে না। বিশ্বের অন্য দেশগুলো চাইলেই পাট উৎপাদক দেশে হয়ে উঠতে পারছে না। এখনও বাংলাদেশের পাটের সম্ভাবন নষ্ট হয়ে যায়নি। কিন্তু সরকারের ভুল পরিকল্পনা, সরকারের দুর্নীতি ও ধনীদের প্রশমন করার নীতির কারণে পাটের সম্ভাবনাকে সরকার কাজে লাগাচ্ছেন না।

বক্তারা আরও বলেন, দেশে প্রতিবছর বিমানে লোকসান হয়। এই ক্ষতির দায়ভার কি সরকারি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ওপর চাপিয়ে দেবেন? নিশ্চয়ই না। বাংলাদেশের পাটকলগুলোর লোকসান হয়, তার দায়িত্ব শ্রমিকদের দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না। দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাটকল শ্রমিকদের কাছে, চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। পাটকলের লোকসানের জন্য মন্ত্রী, সচিবের চাকরি যায় না। 

আরও বলা হয়, সরকার কি পারবে সচিবালয়ের ২০ জন সচিবকে চাকরিচ্যুত করে বেতন আটকে রাখতে? কোনো একটি বাহিনী বা পুলিশের ২০০ জনকে চাকরিচ্যুত করে তাদের বেতন আটকে রাখতে। সেটি সম্ভব নয়। কারণ সরকার এদের ওপর ভর করে টিকে আছে। পাটকল, চিনিকল বন্ধ করা যাবে না। আমাদের দেশে চিনির ভোক্তার সংখ্যা কমেনি। আমরা তো চিনি খাওয়া ছেড়ে দেইনি। তাহলে আমাদের এখানের চিনিকলগুলোতে লোকসান কেন হয়? সরকারের নীতির কারণে পাটকল চিনিকলে লোকসান যায়। আর এর দায় চাপানো হচ্ছে সাধারণ শ্রমিকদের ওপর।

এমএইচএন/এনএফ