সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ। সঙ্গে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। 

শনিবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে রয়েছি। ডিসি ও এসপি স্যারের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চলছে। এখনো সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়নি।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন’ প্ল্যান্ট নামে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কোনো কারণ জানা যায়নি। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত অবস্থায় ১৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিহতদের মধ্যে চারজন হলেন শামসুল আলম (৬৫), ফরিদ (৩৬), রতন লকরেট (৪৫), আব্দুল কাদের (৫৬)। অপর ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহত ১৮ জন হলেন- ১. ফোরকান আলী (৩৩), ২. মো. নূর হোসেন (৩০), ৩. মোতালেব (৫২), ৪. মো. আরাফাত (২২), ৫. মাকসুদুল আলম (৬০), ৬. মো. ওসমান (৪৫), ৭. মো. সোলায়মান (৪০), ৮. মো. রিপন (৪০), ৯. মো. আজাদ, ১০. মো. রিপন মারুফ (৬০), ১১. প্রবেশ (৪০), ১২. নারায়াণ ধর (৬৪), ১৩. মো. জসিম (৫০), ১৪. ফেন্সি (২৬), ১৫. মো. জাহেদ (৩০), ১৬. মুজিবুল হক (৪৫), ১৭. রোজী বেগম (২০) ও ১৮. নাসিম শাহরিয়ার (২৬)।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাইরেন বাজিয়ে একের পর এক আসছে অ্যাম্বুলেন্স। আহতদের বেশিরভাগের শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে গেছে। আগে থেকে স্বজনদের কেউ কেউ এসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে চমেক হাসপাতালের আশেপাশের এলাকা। 

আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, আমি নিজে জরুরি বিভাগে চলে আসছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। তারা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে আমরা ওষুধ, সেলাইন, ইনজেকশন দিচ্ছি। 

এমআর/জেডএস