চট্টগ্রামের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে অতিরিক্ত চাপের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছেন কারখানাটির কম্প্রেসার অপারেটর মো. ওসমান (৪২)।

তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি নগরের কর্নেলহাট এলাকায়। তিনি দুই পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। দুই পায়ের গোড়ালিতে লোহার ছোট টুকরা ঢুকে গেছে। খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না তিনি।

রোববার (৫ মার্চ) ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, কারখানাটিতে বাতাস থেকে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয়। বিস্ফোরণের সময় আমি ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলাম। অক্সিজেনের অতিরিক্ত চাপের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক এস.এম. সাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। তদন্ত শেষে বলতে পারব। 

প্রতিষ্ঠানটিতে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে তিনি অবহিত নন। 

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে।

এমআর/এমজে