গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের নিচতলার স্যানিটারি দোকান আনিকা এজেন্সির মালিক মনিরুদ্দীন সুমনের (৪০) এখনও খোঁজ মেলেনি। ভবনটি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার খোঁজ না মেলায় স্বজনদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে বিস্ফোরিত ভবনের কাছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের কাছে নিখোঁজ সুমনের ভাই নিয়াজ মোর্শেদ তাওহীদকে আহাজারি করতে দেখা গেছে। এসময় তিনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের কাছে মিনতি করে বলেন, আমার ভাইকে উদ্ধার করে দিন। 

এসময় তাওহীদের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হয়। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই সুমন আনিকা এজেন্সি নামের স্যানিটারি দোকানের মালিক। সেখান থেকে দোকানের ম্যানেজার ইসমাইল (৪০) ও বিক্রয়কর্মী সম্রাটের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার হলেও আমার ভাইকে পাওয়া যায়নি। 

নিখোঁজ সুমনের বন্ধু রনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে আমরা একসঙ্গে চা খেয়েছি। সুমন পাশের চায়ের দোকান থেকে নিজের স্যানিটারি দোকানে এসেছে। 

স্থানীয় পারভেজ আহসান বলেন, সুমনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করছি ভেতরে এখনও সুমনের দেহ আছে। ভেতরে আরেকজন থাকতে পারে। 

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ স্যানিটারি নামে আরেক দোকান মালিক মিন্টুর ছোট ভাই বাবুর (৩৫) কোনো খোঁজ মিলছে না।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বললেও কাউকে পাওয়া যায়নি। 

তবে পরবর্তীতে তিনি জানান, স্থানীয়রা বলছেন ভেতরে একজন আছে। তবে আমরা ভেতরে কারও উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত নই। 

উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, এখন সেনাবাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবে।

এমএল/কেএ