তিন সন্তানের মধ্যে মেজ ছেলে রাহাতকে (১৮) হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন বাবা জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার (৬ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়।

রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা যান রাহাত। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায় সদরপুর থানার বাবরচর গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

রাহাতের ভাই রাকিবুল হাসানের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি জানান, ফরিদপুরে পার্সেল পাঠানোর জন্য বিকেলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে যায় সে। দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগেও কথা হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণে সব শেষ হয়ে গেল। বাবার আগে চলে গেল ছেলে।

বাবা হয়ে ছেলের কফিন কাঁধে নেওয়ার শোক জাহাঙ্গীর আলম সইবেন কি করে— প্রশ্ন রাখেন ভাই রাকিবুল।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে। হতাহতদের একে একে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), হৃদয় (২০), সম্রাট। অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এমএল/