রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন নামে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ রয়েছে মর্মে তাদের উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে নিখোঁজ দুই ব্যক্তির পরিবার জেলা প্রশাসনের কাছে এ আবেদন করে।

যাদের উদ্ধারের আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- মেহেদী হাসান স্বপন, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া সেলিম ও ইয়াছিন।

এর মধ্যে মেহেদি বাংলাদেশ স্যানেটারি নামে একটি দোকানে কাজ করতেন। এছাড়া নিখোঁজ ইয়াছিন ওই মার্কেটটিতে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুরে। আর ইমতিয়াজ পথচারী ছিলেন। তিনি রাজধানীর মনিপুরী এলাকায় থাকেন।  

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় মনিরুদ্দীন সুমন (৪০) ও বাবু (৩৫) নামের আরও দুইজন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। 

নিখোঁজ সুমনের ভাই নিয়াজ মোর্শেদ তাওহীদ ঢাকা পোস্টকে জানান, আমার ভাই সুমন আনিকা এজেন্সি নামের স্যানিটারি দোকানের মালিক। সেখান থেকে দোকানের ম্যানেজার ইসমাইল (৪০) ও বিক্রয়কর্মী সম্রাটের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার হলেও আমার ভাইকে পাওয়া যায়নি। 

নিখোঁজ সুমনের বন্ধু রনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে আমরা একসঙ্গে চা খেয়েছি। সুমন পাশের চায়ের দোকান থেকে নিজের স্যানিটারি দোকানে এসেছে। 

স্থানীয় পারভেজ আহসান বলেন, সুমনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করছি ভেতরে এখনও সুমনের দেহ আছে। ভেতরে আরেকজন থাকতে পারে। 

অন্যদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ স্যানিটারি নামে আরেক দোকান মালিক মিন্টুর ছোট ভাই বাবুর (৩৫) কোনো খোঁজ মিলছে না।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বললেও কাউকে পাওয়া যায়নি। 

তবে পরবর্তীতে তিনি জানান, স্থানীয়রা বলছেন ভেতরে একজন আছে। তবে আমরা ভেতরে কারও উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত নই। 

উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, এখন সেনাবাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবে।

এসএএ/কেএ