চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে সেটিও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরা ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। এতে এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুমিরা ও নগরের আগ্রাবাদ স্টেশনের মোট ১১টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আশপাশের সব জলাশয়ের পানি শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে কিছুটা দূরের আরেকটি জলাশয় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন>>আবারও সীতাকুণ্ডে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আশেপাশের সব জলাশয় শুকিয়ে গেছে। এজন্য পানি সংকট দেখা দিয়েছে। এখন নতুন আরেকটি জলাশয় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে।

এর আগে, গত শনিবার (৪ মার্চ) সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুর এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামে কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এ পর্যন্ত সাতজন নিহত ও ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর টানা ৮৬ ঘণ্টা আগুন জ্বলতে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ওই দুর্ঘটনায় আশপাশে থাকা ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও শ্রমিকসহ ৫১ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হন প্রায় দুই শতাধিক। পাশাপাশি ১৫৬টি আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এমআর/কেএ