দক্ষ জনবল কৃষিখাতকে আরো বেশি এগিয়ে নিতে পারে
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিখাতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। দক্ষ জনবলই বাংলাদেশের কৃষিখাতকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে টুয়ার্ডস অ্যা গ্লোবালি কমপিটিটিভ এগ্রি বিজনেস সেক্টর: ইমপেয়ারিং অপরচুনিটি ইন এগ্রো ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট শীর্ষক সেশনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্ভাবনাকে আরো বাড়াতে দক্ষ জনবল তৈরি করা খুবই জরুরি। এটি করা গেলে কৃষিখাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। বর্তমান সরকার কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সব ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে আসছে, এর লক্ষ্য কৃষিকে এগিয়ে নেওয়া। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য ছিল কৃষিকে আরো বেশি এগিয়ে নেওয়া, কৃষিকে আধুনিক করা সে অনুযায়ী বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক নির্দেশনা সবসময় আমাদের প্রদান করছেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে এখন ড্রাগন, স্ট্রবেরি প্রচুর পরিমাণে চাষ হচ্ছে, এটাই হচ্ছে আধুনিক কৃষি। আধুনিক কৃষিতেও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। একসময় একটি গরু থেকে এক দুই কেজি দুধ হতো, কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন একজন খামারি একটি গরু থেকে ১৫/২০ লিটারেও বেশি দুধ পায়। এইভাবে কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। তাহলে আমরা কৃষিকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। আর কৃষিকে নির্ভর করে অগ্রগতি আরো বৃদ্ধি পাবে।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের কৃষিতে অনেক সুযোগ রয়েছে। কৃষির মাধ্যমেই আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এখানে ইনভেস্ট করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে অন্যান্য ইনভেস্টারদের এই খাতে এগিয়ে আসতে হবে। এটি একটি দারুণ সম্ভাবনাময় খাত। এগ্রিকালচার বেশ পণ্যগুলো কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া যায়, সেসব জায়গাতেও বড় পরিসরে আমাদের নিজস্ব কৃষি নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই খাতকে আরো অনেক দূরে গিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট সিম্পসনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য মহসিনা ইয়াসমিন, এসিআই এগ্রো ডিভিশনের এমডি এফ এইচ আনছারি, নেসলে বাংলাদেশের সিইও জাবেদ আক্তার, এগ্রো পেপসিকো পরিচালক আনুকুল জসি, অর্থনীতির অধ্যাপক পিরি ফাইলার, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, এফবিসিআই সাবেক সভাপতি নাছির হোসাইন প্রমুখ।
বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে শনিবার (১১ মার্চ) শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সম্মেলন ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’।
যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা শীর্ষ এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআই এর অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে ৩ প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর আয়োজন রয়েছে এ সামিটে।
এএসএস/এমএ