চট্টগ্রামের বাকলিয়া সার্কেলে বিচারিক আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সৃজন হওয়া একটি খতিয়ান বাতিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম এন জামিউল হিকমা এ আদেশ দেন। একই আদেশে সৃজন হওয়া আরও দুটি খতিয়ানের বিষয়ে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পোস্টে ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও ‘খতিয়ান’, নেপথ্যে এসিল্যান্ডের দুর্নীতি?- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে একটি মিছ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১ মার্চ বাকলিয়া সার্কেলের এসিল্যান্ড খতিয়ান বাতিলের আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, কোতোয়ালি থানার রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় বটতলী মৌজায় ২৪৭১/২০২২, ২৪৭২/২০২২, ২৪৭৩/২০২২  তিনটি নামজারির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি আলাদা খতিয়ান সৃজন হয়। খতিয়ান তিনটি হলো- ২৩৫৬, ২৩৫৭ ও ২৩৫৮। এসব খতিয়ানের বিষয়ে চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচার চলমান রয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি খতিয়ান সৃজনে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সৃজন হওয়া ২৩৫৭ নম্বর খতিয়ান বাতিল করা হল। একই সঙ্গে বাকি দুটি নামজারির বিষয়ে সার্ভেয়ারকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবদুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা আগের এসিল্যান্ড আতিকুর রহমানকে বলেছিলাম। তিনি সবকিছু শুনে খতিয়ান সৃজন করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বদলি হওয়ার আগে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তিনি খতিয়ান তিনটি সৃজন করেছিলেন। এসব খতিয়ান বাতিলে আমরা আবেদন করেছি। একটি বাতিল করা হয়েছে। বাকি দুটি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে।

এমআর/এসকেডি