প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যকোনো কারণে যদি ভূমিহীন পরিবার পাওয়া যায়, যেসব এলাকায় আমরা সবাইকে ঘর দিয়েছি সেখানেও যদি আরও ভূমিহীন পরিবার থাকে, নিশ্চয়ই সেই তালিকাটা আপনারা (জনপ্রতিনিধি) করবেন; তাদেরকেও ঘরের ব্যবস্থা আমরা করে দেব।’

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন >> ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকে তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব। জাতির পিতার বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না। ছিন্নমূল মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার, তাই তাদের মুখে হাসি ফোটানোই বড় পাওয়া।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা শুধু স্বাধীনতাই দেননি, এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরই উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠত।’

‘পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতা দখল করেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, শোষণ করেছে, নিজেদের ভাগ্য গড়েছে’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, এ দেশের মানুষের উন্নতি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এই দল মানুষের পাশে থাকে, তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।

এমএসআই/জেডএস