ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা (ফাইল ছবি)

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হবে বলেও জানান এই কমিশনার।

বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেবো। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজন হবে আমরা সব ব্যবস্থা নেব। আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেবো।

২০২২ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর প্রথমে ৫০টি কেন্দ্রে বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। 

এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ওই ৫১ কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায়। এছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ এসআই, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৪ জানুয়ারি নতুন করে আবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কমিশনের কী পদক্ষেপ রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আস্থা বিষয়টি তো মানসিক। কে কীভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ আস্থা পাবে না। আমরা গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে সে প্রমাণ দিয়েছি।

পরিচয়হীনদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সরবরাহের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি কমিটি কাজ করছে। কীভাবে তাদের এনআইডি দেওয়া যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি।

এসআর/কেএ