বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গী হয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেখানে উপস্থিত আছেন।

মিরপুরের সরকারি পিএইচ সেন্টারের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ইশারার ভাষায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রথম পর্বে আলোচনার পর থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, মুজিববর্ষের থিম সংগীত ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন এবং স্বাগত সম্ভাষণের পর আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আলোচনা পর্বে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভি লাভরফের ধারণ করা শুভেচ্ছা বার্তা দেখানো হবে। পরে অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বক্তব্য দেবেন। এরপর অতিথিদের দেওয়া হবে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা-স্মারক।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলোচনার পর্ব।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যা থাকছে

বন্ধুরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের ওপর সিজি অ্যানিমেশন ভিডিও, কবিতা আবৃত্তি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ওপর লোকসংগীত পরিবেশনা, নৃত্যনাট্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। এছাড়া থাকছে দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা হয়েছে গত ১৭ মার্চ, জাতির জনকের জন্মদিনে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে তার সমাপ্তি হবে। প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও বাংলাদেশের এ উদযাপনের সঙ্গী হচ্ছেন। আয়োজনের প্রথম দিন বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। এছাড়া নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ মার্চ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসবেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি হবে।

এমএআর/