সিডনি অপেরা হাউজের আদলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প 'বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ' নির্মাণে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা চেয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

রোববার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রতিমন্ত্রী এ সহযোগিতা চান।

সাক্ষাতে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নাটেশ্বর ও পানাম সিটি সংস্কার-সংরক্ষণ ও সহযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংস্কৃতি দু'দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি। কোভিডের কারণে বিগত ২-৩ বছর ধরে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২০২২ সালের ৭ আগস্ট চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ে দু'দেশের মধ্যে ২০২৩-২০২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মোট ৫০৯টি পুরাকীর্তি বা প্রত্নস্থল রয়েছে। এসব পুরাকীর্তির সংস্কার-সংরক্ষণে চীন প্রযুক্তিগত ও কারিগরিভাবে সহযোগিতা করতে পারে। এক্ষেত্রে চীন তাদের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও প্রত্ন-বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব সেক্টরে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক তৈরিতে সহযোগিতা করতে পারে। 

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর সংস্কার-সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলা একাডেমি ও চাইনিজ ন্যাশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন।

সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম ও আয়েশা সিদ্দিকা, ঢাকায় চীনা দূতাবাসের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক কাউন্সিলর লিওন ইউ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ওএফএ/জেডএস