বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন

সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে রাতে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ টহল পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের গোহাটিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয়।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজিবি সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিজিবি মহাপরিচালক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পরে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনতে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে রাতে যৌথ টহল পরিচালনায় উভয়পক্ষ সম্মত হয়।

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অপরাধীদের নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার চেষ্টার আহ্বান জানান বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমনের জন্য বিএসএঅ’র সহযোগিতা চাইলে উভয় দেশ তথ্য বিনিময় এবং যৌথ অভিযান পরিচালনায় সম্মত হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে (ভার্চুয়ালি) ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে পদ্মা নদীর ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার নিরীহ পথের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেন। বিএসএফ মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিবি মহাপরিচালক মিজোরামে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে বিএসএফ মহাপরিচালক সেগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

পূর্ব অবহিত ছাড়া উভয়পক্ষই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করতে সম্মত হয় সম্মেলনে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন। ভারতের পক্ষে অংশ নেন বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী রাকেশ আস্থানা, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

জেইউ/এসআরএস