শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারী দগ্ধ আজিজুল ইসলাম মিলন (২৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২০ মার্চ) ভোর ৫টায় বার্ন ইউনিটের আইসিইউর ১৬ নম্বর বেডে তিনি মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মনির ঢাকা পোস্টকে জানান, আমি একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রোগী নেওয়ার জন্য এখানে আছি। রাত তখন পৌনে ১টা বাজে। ভেতরে আসলে ১০৭ নম্বর টয়লেটে বাঁচাও বাঁচাও বলে একজন চিৎকার শুনে আমি, আনসার সদস্য ও একজন রোগীর লোক দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই।

বার্ন ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড মাস্টার জহির জানান, মিলন আমাদের এখানে আগে ডেইলি বেসিসে কাজ করত। পরে এক বছরের বেশি সময় ধরে সে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে। ছোটবেলায় পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুই পা অবশ হয়ে যায়। তিনি প্রতিবন্ধী কোটায় আউটসোর্সিংয়ে বার্নের রিসেপশনে বসেন। তবে কি কারণে ১০৭ নম্বর টয়লেটের ভেতর নিজের শরীরে হেক্সাসল দিয়ে নিজেই গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তা জানতে পারিনি। পরে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৯৮ ভাগ পুড়ে গেছে।আজ ভোরে তিনি মারা যান।

নিহতের বোন সৈয়দাতুন নেছা আখি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমাদের বাবা-মা নেই। আমরা দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে মেঝো ছিল। ছোটবেলায় তার পোলিও রোগ হওয়ায় তা দুই পা অবশ হয়ে যায়। বিয়েও করেনি।সকালে খবর পেলাম আমার ভাই রাতে নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

নিহত  আজিজুল ইসলাম খুলনা জেলার খালিশপুর থানা এলাকার মৃত ইউসুফ আলী শেখের ছেলে।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউর সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. লুৎফুর রহমান আজাদ ভোর ৫টায় তার মৃত্যু হয় বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেন। তার শরীরের ৯৮ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

সিআইডির ফরেনসিকের ক্রাইমসিন ইউনিটের একটি তদন্ত দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়।

ওএফ