সাম্প্রদায়িক হামলার দায় সরকারকে নিতে হবে
সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন বিষাক্ত ফণা তুলেছে। একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে, সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
শনিবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, হামলা হতে পারে আঁচ করে শাল্লার গ্রামবাসী পুলিশকে জানালেও, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শাল্লায় হামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সরকার কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।
বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালনে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হুমকির মুখে পড়েছে। এর আগে রামু, নাসিরনগরসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার যত ঘটনা ঘটেছে, তার কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ায় শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সরকার সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রক্ষা করছে বলেই সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হচ্ছে না। সাম্প্রদায়িক হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে হামলাকারী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা এমন সময় ঘটেছে, যখন ভারতের উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আরএসএসের ভাবাদর্শ লালনকারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর আসন্ন। হেফাজতসহ এ দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করে এবং ভারতের সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট শক্তির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় হেফাজত এবং আরএসএসের মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠাঁই হবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি ও তাদের মদদদাতা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ-এর (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতা জুলফিকার ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শামীম ইমাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আলী, সুনামগঞ্জের সিপিবি নেতা নিরঞ্জন দাশ খোকন প্রমুখ।
এমএইচএন/এইচকে