ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ টাকা জরিমানা করলেও দুই লাখ টাকার রশিদ দিয়ে অবশিষ্ট দুই লাখ টাকা আত্মসাতের কারণে শাস্তি পেয়েছেন সহকারী সচিব সুমিত সাহা। অর্থাৎ আগামী দুই বছর সরকারি বেতন কাঠামোর নবম গ্রেডের ২২ হাজার টাকা মূল বেতন পাবেন তিনি। দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমান স্কেলের বেতন পাবেন সুমিত সাহা। তবে কোনো বকেয়া আর্থিক সুবিধা পাবেন না তিনি।

ঝালকাঠির কাঠালিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে এ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন সুমিত সাহা। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি।

রোববার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাঠালিয়ার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) থাকাকালে মেসার্স ত্বহা ব্রিকসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চার লাখ টাকা জরিমানা করলেও দুই লাখ টাকার রশিদ দেন। অবশিষ্ট দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টার কারণে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। পরে এ কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানি প্রার্থনা করেন। 

ব্যক্তিগত শুনানি নিয়ে অভিযোগ তদন্ত করতে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে জানান, অসদারণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন এবং নথির কাগজপত্র ও প্রাসঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনায় সুমিত সাহাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার অপেক্ষাকৃত কম বয়স ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় দুই বছরের বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এসএইচআর/এফকে