জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় ভোক্তা সংগঠন নাগরিক সমাজ এবং রাজনীতিবিদদের যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নাগরিকরা যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের একার পক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ কর্তৃক আয়োজিত ‘নাগরিক সেবা প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী মো. মকবুল ইলাহী চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী নাগরিকরা সেবা পাচ্ছেন না। আমাদের দেশে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হয় এনজিওদের চাপিয়ে দেওয়া নীতি অনুযায়ী। আমাদের দেশে ভোক্তা বা নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয় গড়ে তোলা হয়নি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে। নাগরিক স্বার্থ রক্ষা করার নামে যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হওয়ায় নাগরিকরা প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি ভোক্তা অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। আবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা করে থাকে। তাই একসাথে ব্যবসার স্বার্থ রক্ষা, অন্যদিকে নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। আমাদের দাবি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের সেবা রক্ষার্থে বা ভোক্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয়ের মতো বাংলাদেশেও দ্রুত নাগরিক সেবা বা স্বার্থ রক্ষা করার জন্য স্মার্ট সেবা সুরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক।

ওএফএ/এফকে